Sunday, December 29, 2019

গেইমারদের মাউসটি কেমন হওয়া উচিৎ?

গেইম খেলতে কার না ভালো লাগে,আর উন্নতমানের আকর্ষনীয় একটি গেইম খেলায় যখন কোনো ব্যক্তি মেতে উঠে তখন তার কাছে মনে হয় যেন এ এক অসাধারণ বিনোদন জগৎ। আর এ অসাধারণ বিনোদন জগৎটিকে উপভোগ করার জন্য প্রয়োজন কিছু অসাধারণ যন্ত্রাংশের। আর এর মধ্যে অন্যতম যন্ত্রটিই হচ্ছে গেমিং মাউস

 গেইম খেলতে এ মাউস টি যেমন ক্র‍য় করা খুবই প্রয়োজন তেমনি ক্র‍য়ের পূর্বে এটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য ও জ্ঞান অর্জন করাও বিশেষ প্রয়োজন। তাই বেশি কথা না বাড়িয়ে মাউসটি ক্র‍য় করার পূর্বে যে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য করা প্রয়োজন তা সম্পর্কেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। যা অনুসরণ করে আপনারা সহজেই উপকৃত হবেন।
মাউসের সাথে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশেষঃ-

সেন্সর:

সেন্সর হচ্ছে মাউসের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ যা ছাড়া পুরো মাউসটিই যেনো অচল। প্রায় বেশিরভাগ কাজগুলোই মাউসের সেন্সর দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। সেন্সরের মাধ্যমে একটি মাউসের কাজেরক্ষমতা নির্ভর করে। ভালো একটি মাউসের মূল বৈশিষ্ট্যই হলো ভেতরে ভালো মানের সেন্সর থাকা।


মাউসের লাইটিং ও ডিজাইন :

মাউসটিকে আরো আকর্ষনীয় করে ফুটিয়ে তোলার জন্য অত্যাধুনিক লাইটিং ও ডিজাইন করা হয়। আবার তা হতে পারে তারবিহীন যার কাজের সাথে সাথে তার সৌন্দর্যও ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম। কিছু নিম্নমানের ব্র্যান্ড রয়েছে যারা ভেতরের নয় বাহিরের সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে পন্যটি বাজারজাত করে থাকে। তাই সাধারন
ক্রেতাদের এ বিষয়টি মাউসের অতিরিক্ত দিক হিসেবে দেখা উচিৎ।

মাউসে থাকা বাটন :

মাউসে সাধারণত তিনটি বাটন থাকে। তার মধ্যে বাম পাশে একটি,ডান পাশে একটি এবং মধ্যস্থানে একটি। এ তিনটি বাটনের সাহায্যেই কাজ করা হয়ে থাকে। বাটনগুলো বিভিন্নধরনের সুইচে বানানো হয়ে থাকে। আর এর মধ্যে উন্নত ও জনপ্রিয় সুইচ হচ্ছে ওমরন সুইচ। যার চাহিদা সবথেকে বেশি পরিমাণে রয়েছে।
এবার চলুন সংক্ষেপে কেনার পূর্বের গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস জানা যাকঃ-
·        প্রথমেই ভালো প্রস্তুতকারক সকল কোম্পানির পন্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা জেনে নেওয়া ও বাজারদর যাচাই-বাছাই করা।
·        এটি কতটুকু পরিমাণ সেন্সিটিভ এবং এটির কর্মক্ষমতা অর্থাৎ সেন্সরটি ভালো মানের কিনা সেদিকে লক্ষ্য করা।
·         হাতের আকারের সাথে মাউসটির আকার আরামদায়ক কিনা সেদিক লক্ষ্য রাখা।
·        মাউসটির বাটনগুলো কোন ধরনের সুইচে বানানো হয়েছে সেদিকে নজর দেওয়া।
·        মাউসে থাকা অতিরিক্ত সুবিধা যেমনঃ মাউসটি সফটওয়্যার দ্বারা পরিচালনা করা, মাউসটির আকার ও ওজন কমানো বাড়ানো,
মাউসটি তারবিহীন ভাবে ব্যবহার করা এবং মাউসটিতে অতিরিক্ত বাটন থাকা ইত্যাদি বিষয়গুলো দেখে তা ক্র‍য় করা উচিৎ।
·        সবশেষে এর ডিজাইন ও লাইটিং এর বিষয়ে  লক্ষ্য করা। কারণ আজকাল সকল পন্যের কোয়ালিটি যাচাই এর সাথে সাথে এর সৌন্দর্য্যও লক্ষ্য করা হয়। সৌন্দর্য্য এটিকে দেখতে আরো আকর্ষনীয় করে তোলো।
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনাগুলো আপনাকে একটি উন্নতমানের গেমিং মাউস কেনার ক্ষেএে অনেক সাহায্য করবে। টিপসগুলো অনুসরণ করে মাউসটি ক্র‍য় করে আপনি আরামদায়কভাবে উপভোগ করতে পারবেন যেকোনো ধরনের গেইম।

No comments:

Post a Comment